স্বাধীনতা বিরোধীদের কারণে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে: অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অবৈধ ক্ষমতা দখলদার, মৌলবাদ, জঙ্গি-সন্ত্রাসসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ফাইনান্স ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দারিদ্র মুক্ত হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭ টি শর্ত পূরণের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দারিদ্রমুক্তি যা বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হবে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার উদ্যোগের পর থেকে এসডিজি সারাবিশ্বে গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশ সহস্রাধিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে ছিল। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অর্থমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, ‘আমাদের সময়কালে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর চেয়েও বেশি সুযোগ সুবিধা রেখে যেতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এই উন্নয়নের ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।’ বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে প্রবৃদ্ধির মাত্রা ১০ শতাংশে পৌছাতে হলে সব জেলায় রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় তৎপর হতে হবে। শুধুমাত্র ঢাকাকে না কেন্দ্র করে সারা দেশে এসব কার্যক্রম পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থিক মুক্তি অর্জনে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণ, সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার, ব্যয় সংকোচন, সঞ্চয়ী বিনিয়োগ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদিসহ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ানোর আহবান জানান তিনি।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ