চট্টগ্রামে আজ ভিড় কম, রাতেই ফিরেছেন বেশির ভাগ শ্রমিক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ রোববার থেকে রপ্তানিমুখী কারখানা খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে গতকাল শনিবার রাত থেকে সীমিত সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় গণপরিবহন। গণপরিবহন চালুর পরও আজ সকালে বন্দর নগর চট্টগ্রামে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম ছিল। গতকাল রাতের মধ্যেই বেশির ভাগ শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন কারখানা মালিকেরা। চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোতেও কর্মীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
রোববার সকালে নগরের টাইগারপাস, নিউমার্কেট মোড়, কোতোয়ালি মোড়, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট ঘুরে দেখা গেছে, এসব স্থানে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিল বাস ও অটোরিকশা। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে গণপরিবহনগুলো। তবে যাত্রীদের লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়।

কারখানার খোলার প্রথম দিন রোববারে প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত ছিল বলে জানান ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা। কারখানার মালিকেরা জানিয়েছেন, কারখানা খোলার খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকেই চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেন পোশাকশ্রমিকেরা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও পাশের জেলাগুলো থেকে পোশাকশ্রমিকেরা রাতের মধ্যে ফিরেছেন। দূরের জেলাগুলোতে অবস্থান করা শ্রমিকেরা আজকের মধ্যে ফিরবেন।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় শতভাগ কারখানা শ্রমিকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করা হয়েছে। ৮০ শতাংশের বেশি শ্রমিক উপস্থিত হয়েছেন। বেশির ভাগ শ্রমিক গতকাল শনিবার রাতের মধ্যে চট্টগ্রামে ফিরেছেন।

কারখানা খোলার খবরে নগরে চলমান কঠোর বিধিনিষেধও কম মানতে দেখা গেছে। নগরের অলিগলির দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে। রোববার সকালে নগরের পাথরঘাটার আশরাফ আলী সড়ক, আলকরণ, ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার সব ধরনের দোকান খোলা দেখা যায়। তবে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম।

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এবার বিধিনিষেধে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখে সরকার। বিধিনিষেধের কারণে ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন অনেক শ্রমিক। এর মধ্যেই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আজ থেকে তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই খবরে গতকাল শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকেরা চট্টগ্রাম নগরে ফিরতে শুরু করেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন শ্রমিকেরা। গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাত থেকে শ্রমিকদের জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Source: Prothomalo