রায় পড়ে ড. কামাল পরামর্শ দেবেন: ফখরুল
নিউজ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে আইনি পরামর্শের জন্য প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের কাছে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ ড. কামাল হোসেন ফিরিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি সত্য নয়। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হেসেনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তিনি মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রায়ের একটা কপিও তাঁকে দিয়েছি। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, রায়ের কপি পড়ে তিনি পরামর্শ দেবেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যা। এর মাধ্যমে শুধু বিএনপি নয়, ড. কামাল হোসেনের মতো আইনজীবীকেও ছোট করা হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া আইনজীবীদের ভুলে কারাগারে আছেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রমাণ করেছেন, খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’ সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাগুলো সচল করছে। সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রেখে তাঁকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। আমরা লক্ষ্য করেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন হওয়ার কথা থাকলেও সরকার ইচ্ছা করে নথি দিতে বিলম্ব করেছে।’ ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এমনকি দলের নারী কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করে সারা দিন থানায় রেখে পরের দিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এমনকি শুনানির যে তারিখ দেওয়া হচ্ছে, তাও এক-দুই মাস পর। তিনি বলেন, দমন-পীড়ন চালানোর মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করা যাবে না। এমনকি বিএনপিকেও ভাঙা যাবে না। বিএনপির আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, কোনো সংঘাতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়িত নন। অথচ দলের নেতা-কর্মীদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মিথ্যা মামলায়। আর প্রধানমন্ত্রী দেশে-বিদেশে সরকারি খরচে নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন। তাই আমরা যৌক্তিক দাবি জানিয়েছি, অবিলম্বে এটি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে। তবে আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেবে। আর যদি তারা সেটা না করে, তাহলে আমরা আগে যে অভিযোগ করেছি—নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে—সেটাই প্রমাণ হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে তফসিল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।
আজ নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ আলোচনায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।