দুই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন শ্বেতা

বিনোদন ডেস্ক

শ্বেতা তিওয়ারি সম্প্রতি তার অতীত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার বিশ্বাস কীভাবে ভাঙা হয়েছে সে কথাও প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে ভোজপুরি অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। বিয়ের নয় বছর পর ২০০৭ সালে আলাদা হন তারা। তারপর ২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্বেতা। কিন্তু এ বিয়েও টেকেনি। ২০১৯ সালে হয় বিচ্ছেদ হয় তাদের।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা খোলাখুলিভাবে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কথা বলেছেন। পারিবারিক হিংসার শিকার হওয়ার কারণে তিনি প্রথম স্বামী রাজার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। শ্বেতার প্রথম পক্ষের একটি মেয়েও রয়েছে। তার নাম পলক তিওয়ারি।

 

এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা বলেছিলেন, একাধিকবার বিশ্বাস ঘাতকতার অভিজ্ঞতা তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো অভিনেত্রীর মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। প্রাথমিকভাবে সঙ্গীর সঙ্গে নানা সমস্যা হলে, তিনি সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু তাতে সমস্যা না মেটায় তিনি বিচ্ছেদ্যের পথ বেছে নেন। তারপর আবার দ্বিতীয়বারের জন্য চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলেও, তিনি বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হন। আর তা থেকেই তিনি বুঝতে পারেন তার জীবনে এই ব্যথা অব্যাহত। তাই তৃতীয়বার তার পক্ষে কিছু ভাবা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। যখন যখন তিনি বিশ্বাস ঘাতকতার মুখোমুখি হয়েছেন তখন তখন তিনি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছেন সেই সম্পর্ক থেকে।

অভিনেত্রীর মতে, তিনি আর অন্যদের তাকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেন না। তিনি যাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই শ্বেতার অনুপস্থিতি বুঝতে পেরেছেন এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনাও করেছেন।

 

সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসা নিয়ে শ্বেতা জানান, তার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয় কারণ বিভিন্ন বিষয় তাকে প্রভাবিত করেছিল। অভিনেত্রীর পরিবারে প্রেম করে বিয়ে করা কে ঠিকভাবে দেখা হত না। তাছাড়াও তিনি আন্তঃবর্ণ বিবাহে করেছিলেন, যার জন্য নানা সামাজিক সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু তারপর স্বামীর খারাপ ব্যবহার তাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। কিন্তু সন্তানকে বাবা ছাড়া একলা বড় করে তোলা, বেশ কঠিন হবে ভেবে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। তবে এই সব মিলিয়ে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও, তিনি নানা সমস্যার কথা ভেবে বার বার পিছিয়ে আসেন।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries