কিশোরগঞ্জে নতুন করে ৮জনের করোনা শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ১৭৪

কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ পাওয়া নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে নতুন করে ৮ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) পাঠানো ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পাওয়া যায়। এতে এই ৮ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে।

ফলে এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুসহ তিনজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছে। তিনজনেরই মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।

মারা যাওয়া তিনজন হলো, করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০) এবং হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৮ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ১১৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ৮ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৫ জন, ভৈরব উপজেলায় ১ জন ও কটিয়াদী উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।

বুধবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১৬৬ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছিল।

উপজেলাওয়ারী হিসাবে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৪ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪১ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১৯ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিল।

নতুন করে ৮ জন সনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৪ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪২ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আরো জানান, সর্বশেষ সোমবার (২০ এপ্রিল) পাঠানো ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকা থেকে পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল), বুধবার (২২ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পাঠানো নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পেন্ডিং রয়েছে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ