রাজাপুরের ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় যুব মহিলালীগ নেত্রীকে পুলিশের উপস্থিেিত মারধর
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরির চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মধ্যেমে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজুর বিরুদ্ধে। চাকরি না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি ডলি আক্তারকে (৩০) লোকজন নিয়ে মারধর করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দফায় ওই নারী নেত্রীকে মারধর করা হয়। এমনকি থানার সামনে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে মারধর করে আফরোজা আক্তার লাইজু। অভিযোগে জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার পুখরিজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে বাইপাস সড়কের আল আমিন খানকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আল আমিনের বড় বোন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি ডলি আক্তারের কাছ থেকে ২০১৫ সালে চার লাখ টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পরে আল আমিনকে চাকরি না দিয়ে দেওয়া হয় রহমান নামের একজনকে। চাকরি না দেওয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া ৪ লাখ টাকা ফেরত চাইলেও তা দিচ্ছেন না আফরোজা আক্তার লাইজু। বুধবার রাতে ডলি আক্তার তাঁর মামামো ভাই মো. ছায়েদকে পাঠায় আফরোজা আক্তার লাইজুর কাছে। ছায়েদ লাইজুর কাছে গিয়ে ডলি আক্তারের টাকা ফেরত দিতে বলেন। টাকা তিনি নেননি বলে জানান। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে লাইজু দলবল নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডলি আক্তারের বাইপাস সড়কের বাসায় গিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে ডলিকে মারধর করেন তাঁরা। আহত অবস্থায় ডলি রাজাপুর থানায় ছুঁটে আসেন। তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। রাজাপুর থানায় আসার খবর শুনে ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু লোকজন নিয়ে থানায় আসেন। পুলিশের সামনেই ডলিকে বেধরক মারধর করেন লাইজু। রাজাপুর থানার মহিলা পুলিশ তাদের হাত থেকে ডলিকে উদ্ধার করে। বিকেলে ডলি রাজাপুর থেকে ঝালকাঠি এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমি পাওনা টাকা চাওয়ায় আফরোজা লাইজু আমাকে দুই দফায় মারধর করেছে। পুলিশের সামনে বসেও মারছে। মহিলা পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করেছে। আমি এখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। আমার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে যে টাকা লাইজু নিয়েছে সেই টাকা ফেরত পেতে আমি প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে ডলি। সে নিজেই অন্যের টাকা নিয়ে পরিশোধ করছেন না। আমি বা আমার লোকজন তাকে কোন মারধর করেনি। থানায় ডলির বিরুদ্ধে রোজিনা নামের এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রাজাপুর থানার ওসি মো. শামসুল আরেফিন বলেন, থানার মধ্যে বসে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ডলি আক্তারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ডলির বিরুদ্ধেও রোজিনা নামের এক নারী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দুটি তদন্ত করে দেখছি।