বগুড়ার ১২ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু
বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার ১২ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল থেকে পুলিশ সদস্যদের অভ্যন্তরীণ কাজ করতে দেখা যায়। তবে সব থানা পুলিশ বাইরে টহল দেওয়া থেকে এখনও বিরত রয়েছেন। আর সব থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
এর আগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়ার বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার সব থানার কার্যক্রম। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে জনগণের কাছে পুলিশ নামক শব্দটি কলংকিত হওয়ায় দেশজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশের বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। সমন্বয় কমিটির দেওয়া ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পুলিশ সদস্যরা।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের থানা ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকায় খুব বেশি লোকজন নেই। আমরা থানায় কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে সব কার্যক্রম আমাদের অভ্যন্তরীণ। সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা বলেন, আমাদের থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। টহল বাদে সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা শুরু থেকে থানাতেই আছি। আজ থেকেই খুব সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে বাইরের কার্যক্রমে এখনও পুলিশ অংশ নেয়নি।
এদিকে সদর থানার কার্যক্রম ডিবি অফিসে হচ্ছে। সেখানে থাকা ডিউটি অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, জনগণকে পুলিশি সেবা দেওয়ার জন্য আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে শুরু করেছি। স্বাভাবিক পরিসেবা চালু হতে কিছু টা সময় লাগবে।
বগুড়া সদর উপজেলায় দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করছি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বগুড়ার ১২ থানায় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। থানার নিরাপত্তায় সেনা সদস্যরাও কাজ করছেন। সদর থানা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে বসার মতো কোনো পরিবেশ নেই। তাই সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে চলছে।