পাকুন্দিয়ায় চাদা না পেয়ে বনিক সমিতির সভাপতির ওপর সন্ত্রাসী হামলা

নিউজ ডেস্ক

ব্যবসায়ি নেতা মো. রিপন মিয়ার কাছে মোটা অংকের চাদা দাবি করে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী। চাদা না পেয়ে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে ওই ব্যবসায়ি নেতার নেতার ওপর দুই দফা হামলা করে সন্ত্রাসীরা। তারা ব্যবসায়ি রিপনকে পিটিয়ে আহত করে। তার দোকানসহ অন্তত ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। ৯৯৯ এ ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপনকে উদ্ধার করে।

কিন্তু রহস্যজনক কারনে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এমনকি পুলিশে অভিযোগ করায় সরকারি ভাবে ইজারা নেয়া বাজার থেকে জোর করে কয়েক লাখ টাকা ইজারা তুলে নেয় সন্ত্রাসীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও মিলেনি কোন প্রতিকার। অবশেষে আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. রিপন মিয়া। আদালত অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মঠখোলা বাজারটি এক বছরের জন্য ইজারা নেন, বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মো. রিপন মিয়া। এর  পর থেকেই স্থনীয় একটি প্রভাবশালী মহল তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৭ এপ্রিল রাতে এলানামূল, মেনু মিয়া ও নূরুল ইসলামসহ ১৫/২০ জনের একটি দল মঠখোলা বাজারের রেনু মার্কেটে ব্যবসায়ি নেতা মো. রিপন মিয়াকে মারধর করে। এর ঘন্টা খানেক পর ২৫/৩০ জন ব্যক্তি দেশিয় অস্ত্র নিয়ে রিপন মিয়ার চেম্বারে আবারো হামলা করে। এ সময় আশপাশের অন্তত ২৫টি দোকানের সাটার কুপিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। ৯৯৯ এ ফোন করা হলে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

রিপন মিয়া অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় পরদিন পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলার এজাহার দাখিল করি। কিন্তু স্থানীয় এমপির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ মামলা রেকর্ড না করে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। এতে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাজার থেকে জোর করে  আড়াই লাখ টাকা ইজারা তুলে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে গত ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ি নেতা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত এনামূল হক, মেনু মিয়া, নূরুল ইসলামসহ ৩৭ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আইনশৃংখলা বিঘ্নকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়েল করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক পার্থবর্ধন অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ কিশোরগঞ্জ পিবিআইকে দেন।

মঠখোলা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মো. রিপন মিয়া বলেন, ‌‌ মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় তারা আবারো হামলা করতে পারে। স্থানীয় একটি প্রভাকশালী মহল এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে পাকুন্দিয়া থানার ওসি অসাদুজ্জামান টিটু মামলা না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‌ ‘বাজারের সভাপতিতে মারধন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তিনি থানায় মামলার অভিযোগ দেননি। শুনেছি আদালতে মামলা করেছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ