র‍্যাগিং করা হয়নি,এটি সাজানো নাটক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তরা

শফিক কবীর: কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে চতুর্থ ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, মিথ্যে অপবাদ ও অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তরা। ১ মে বুধবার দুপুর ২টায় মেডিকেল কলেজের আবাসিক ইন্টার্নি হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হৃদয় কান্তি বিশ্বাস তীর্থ।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। এসময় অভিযুক্তরা ছাড়াও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ মোবারক মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মারুফ, মোহাম্মদ সাদীদ, হাসান মোর্শেদ ও অভিক বনিক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য : গত ২৪ এপ্রিল ভোররাতে মো.ফয়সাল ওরফে ইকরাম নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়ে একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড় ভাইদের এমন নির্যাতনের বর্ণনা ও করুণ আর্তি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আর কোনো শিক্ষার্থী যেন ভবিষ্যতে বড় ভাইদের এমন র‌্যাগিং ও নির্যাতনের শিকার না হয়। আর এমন নির্যাতনের ঘটনায় তিনি অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন।

জানাযায়, র‌্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো.ফয়সাল ওরফে ইকরামের কক্ষে ভোররাতে প্রবেশ করে শারীরিক নির্যাতন করে চতুর্থ ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্থোপিডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কেনানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের ৩০১ কক্ষে ভোর সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, প্রফেসর মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের সুপার ও এন্টি র‌্যাগিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ওই মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ, রেজোয়ানুল ইসলাম (স্বনন), হৃদয় কান্তি বিশ্বাস তীর্থ, জয়, শাফীন, তাহের ও লিমন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি, সৌরভ পাল, নাফিজ, অনিমেষ, তাবিব, অনিক ও শাওন। এরমধ্যে ফয়সাল আহমেদ শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রেজোয়ানুল ইসলাম (স্বনন) ও হৃদয় কান্তি বিশ্বাস তীর্থ সাংগঠনিক সম্পাদক।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ইকরাম এখন শঙ্কামুক্ত, তার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আশুতোষ সাহা রায় বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কেনানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ