করোনায় বাবার মৃত্যুর পরদিন মারা গেলেন ছেলে

মেহেরপুরের গাংনীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুর এক দিন পরে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫৫) ও তাঁর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)। দুজনই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মখলেছুর রহমান বলেন, শহিদুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তাঁর ছেলে হাবিবুরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। একেবারে শেষের দিকে হাসপাতালে আসার কারণে তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবা শহিদুল ইসলাম। আজ বুধবার বিকেলে মারা যান ছেলে হাবিবুর।

এনজিও কর্মকর্তা হাবিবুর ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পরে দেখেন, তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চলাফেরা করছেন। পরের দিনে তাঁর নিজেরও একই রকম উপসর্গ দেখা দেয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) পিএসকেএসের দামুড়হুদা কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পরে দেখেন, তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনার উপসর্গ নিয়ে চলাফেরা করছেন। পরের দিনে তাঁর নিজেরও একই রকম উপসর্গ দেখা দেয়। পল্লিচিকিৎসক দেখিয়ে দুজনই সাধারণ সর্দি-জ্বরের ওষুধ সেবন করেন। গত শনিবার সকালে শহিদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান হাবিবুর। সেখানে বাবা-ছেলের করোনা পরীক্ষা করলে দুজনই পজিটিভ শনাক্ত হন। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবারে শহিদুল ইসলাম মারা যান। এর পরদিন আজ ছেলে হাবিবুর রহমানও মারা যান।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ মেহেরপুরে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে রেড জোনে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৭ জন। ইয়েলো জোনে ভর্তি আছেন ২৭ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ১৪৬ জনের মৃত্যু হলো।

Source: Prothomalo