অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
আফিফ-নুরুলে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
যাকে বলে ‘ফিনিশিং থিং ইন স্টাইল’!
জশ হ্যাজলউডের বলে র্যাম্প শটে চার মারলেন আফিফ, তাতেই নিশ্চিত হল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়। ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও নুরুল হাসানের সঙ্গে আফিফ হোসেনের অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের। ৩১ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ, নুরুল করেছেন ২১ বলে ২২ রান।
একটি শট দূরে বাংলাদেশ
অ্যান্ড্রু টাইয়ের ওভারে আফিফ মেরেছেন দুই চার। শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৪ রান।
১৮ বলে প্রয়োজন ১৪ রান
জাম্পার ওভারে এক চারে উঠেছে ৫ রান। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ১৮। স্টার্ক-হ্যাজলউডের সঙ্গে ওভার বাকী টাই ও মার্শের।
ক্যাচের বদলে ছয়
আফিফের শটটা বেশ খানিকটা ছুটে এসে মিডউইকেটে নিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। তবে ভার সামলানোর জন্য বাউন্ডারির বাইরে চলে যেতে হয়েছে তাঁকে। শেষ মুহুর্তে বলটা ছুঁড়েছিলেন, তবে এপারে রাখতে পারেননি। আফিফ বেঁচেছেন, পেয়েছেন ৬ রান। শেষ ৬ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৭ রান। আফিফের সঙ্গী নুরুল হাসান।
অবশেষে মেহেদী (আউট)!
মেহেদী আসলে আউট হতে পারতেন আরও আগেই। তবে এতক্ষণ ঝুলে ছিলেন তিনি। অ্যাডাম জাম্পাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিস করে গেলেন, এবার আর শেষরক্ষা হলো না তাঁর। ক্রিজে ফেরার আগেই স্টাম্পিংয়ের কাজতা সেরে ফেলেন ম্যাথু ওয়েড। মেহেদী ফিরেছেন ২৩ রান করে, জয় থেকে ৫৫ রান দূরে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ম উইকেট।
রিভিউ বাঁচাল আফিফকে
রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লুর হাত থেকে বেঁচেছিলেন সাকিব। এবার বাঁচলেন আফিফও। দুবারই আম্পায়ার ছিলেন মাসুদুর রহমান। মিচেল মার্শের বলটা পড়েছিল লেগস্টাম্পের বাইরে, যদিও বেশ ‘ক্লোজ’ ছিল সেটি।
আলগা শটে নেই মাহমুদউল্লাহ
আলগা শট। মাহমুদউল্লাহর খেলা শটকে আর কি-ইবা বলা যায়! অ্যাশটন অ্যাগারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে শরীর থেকে দূরে ব্যাট চালিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বল ডেকে এনেছেন স্টাম্পে। ৫ বল ও ১ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। চাপ যে বাড়ল, তা তো না বললেও চলে!
শেষ ৬০ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬২ রান। উইকেট আছে ৬টি।
টাইয়ের নাকল বলে নাকাল সাকিব
অ্যান্ড্রু টাইয়ের নাকল বলটা ঘুরিয়ে মারতে যাওয়ার চেষ্টাটা সফল হল না সাকিবের। লাইন মিস করে হলেন বোল্ড। মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটিও ভাঙল এতে। ১৭ বলে ২৬ রান করে ফিরলেন সাকিব, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
মেহেদী, তাঁর ভাগ্য এবং একটি ছয়
যেন ভাগ্যকে সঙ্গে করে নিয়েই নেমেছেন মেহেদী হাসান। অ্যাশটন অ্যাগারের দুই ওভারে তিনবার মিসটাইমিংয়ে আকাশে তুলেছেন বল, তবে তিনবারই তিনি বেঁচেছেন ক্যাচ ফিল্ডারের কাছে ঠিকঠাক না যাওয়ায়। অস্ট্রেলিয়ানরা চেষ্টা করেছেন, তবে নাগাল পাননি। অ্যাডাম জাম্পার বলেও একটা তুলে মেরেছিলেন শুরুতে, সেটিও যায়নি ফিল্ডারের কাছে। এরপর এসে অবশেষে টাইমিং করতে পেরেছেন। ইনিংসের প্রথম ছয়টাও এসেছে মেহেদীর ব্যাটেই।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাকিব
পাওয়ার প্লে-তে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ২ উইকেটে ৩২ রান। ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশও, তবে তুলেছে একটু বেশী- ৩৮ রান। সাকিব আল হাসান শুরুতে নেমেই মেরেছিলেন তিন বাউন্ডারি, তবে এরপর চুপচাপই ছিলেন তিনি মোটামুটি। অ্যাশটন অ্যাগারের বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন এরপর। টার্ন করা ডেলিভারি মিস করে গিয়েছিলেন, আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত অবশ্য রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি মিস করে যেত লেগস্টাম্প।
ফিরলেন নাঈমও
সৌম্যকে স্টার্ক, মোহাম্মদ নাঈমকে ফেরালেন জশ হ্যাজলউড। একটু ফুললেংথ থেকে বলে ছিল মুভমেন্ট, নাঈম খেলেছেন ভুল লাইনে। সৌম্যর মতো বোল্ড হয়েছেন তিনিও।
চতুর্থ ওভারে দুই ওপেনারকেই হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে স্টার্কের বলে চার হয়েছে তিনটি, তবে এর মাঝে একটিতে আউট হতে পারতেন সাকিব। সৌম্যকে ফেরানোর পর আবারও ফুললেংথে গিয়েছিলেন স্টার্ক, তবে সাকিব প্রথমে ফ্লিক করে মেরেছেন দারুণ টাইমিংয়ে চার। পরের বলেও হয়েছে চার, সেটিও ছিল ফ্লিকই। এরপর স্টার্ক শর্ট অফ আ লেংথে গেলেন, সাকিব একটু বেসামাল হয়ে হলেন এজড। তবে সেটি গেল উইকেটকিপার ওয়েডের নাগালের বাইরে দিয়ে, ছিল না স্লিপও।
স্টার্ক ফেরালেন সৌম্যকে
মিচেল স্টার্কের ফুললেংথের বলের গতি বুঝতেই পারেননি সৌম্য। আগেভাগেই আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে সেটি নাগাল পায়নি স্টার্কের গোলা। তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন, বাংলাদেশের না হারার রেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে পুরো ২০ ওভার খেলে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। এ রেকর্ডটাই বলে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দুর্দশার চিত্র।
অন্তত আগেরদিনের চেয়ে একটু ভালো শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া, তবে দ্রুত উইকেট এদিনও হারিয়েছে তারা। শুরুতে বাংলাদেশ স্পিনারদের কবলে পড়েছে সফরকারীরা, এরপর পেসাররা এসে সেরেছেন বাকী কাজটা।
মাঝে মিচেল মার্শ ও মোয়েজেস হেনরিকেসের জুটি একটু আশা জুগিয়েছিল তাদের। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০ ওভারে এতো কম রানের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এর আগে হারেনি কখনোই।
১২১ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া
অল-আউট না হলেও অস্ট্রেলিয়া থামল ১২১ রানেই। শেষ ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান তুলেছে তারা।
শেষ করলেন শরীফুল
অ্যাশটন টার্নারকে তেমন কিছু করতে দেননি শরীফুল। ১৯তম ওভারে শরীফুল দিলেন মাত্র ৫ রান। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে শেষ করলেন এই বাঁহাতি পেসার।
পরের বলে মোস্তাফিজের আরেকটি
ফিলিপে বোকা বনেছিলেন বল নীচু হওয়ায়। অ্যাশটন অ্যাগার ধরা পড়লেন মোস্তাফিজের বাড়তি বাউন্সে। বল অ্যাগারের গ্লাভসে লেগে গেছে উইকেটকিপার নুরুলের কাছে। গতির দারুণ পরিবর্তনে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেন আরেকটি। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হল তাঁর।
ওয়েড এবং লেগসাইডের বল
প্রথম ম্যাচে নাসুম আহমেদের লেগসাইডের বেশ বাইরের বলে খেলে ক্যাচ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। এবার মোস্তাফিজকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে হলেন বোল্ড। ৭ বলে ৪ রান করেই ফিরতে হল তাঁকে।
মার্শকে ফেরালেন শরীফুল
গিয়ার বদলানোর চেষ্টায় টেনে মারতে গিয়েছিলেন মার্শ। তবে শরীফুলের বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি সেভাবে। বড়সড় এজ-টা গেছে উইকেটে পেছনে। আবারও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। অসময়ে মার্শকে হারিয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া।
৩ ওভার বাকী থাকতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪ উইকেটে ১০২, ক্রিজে দুজনই নতুন ব্যাটসম্যান।
অবশেষে ব্রেক থ্রু
সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গেছেন মোয়েজেস হেনরিকেস, এরপর যা হওয়ার তাই হয়েছে! গতি কমিয়ে আনা বলের লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড। প্রথম ম্যাচেও সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন হেনরিকেস।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন সাকিব, ৬ ওভার বাকী থাকতে আরেক দফা চাপে পড়ল অস্ট্রেলিয়া।
ফিফটি জুটি
আবারও শুরুতেই চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মিচেল মার্শ ও মোয়েজেস হেনরিকেসের জুটিতে সে আপাতত সামাল দিয়েছে তারা। দুজনের জুটি ছাড়িয়ে গেছে ফিফটি। মোটামুটি একটা ভিত পেয়েছে সফরকারীরা।
অবশেষে ছয় অস্ট্রেলিয়ার
নাসুমের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ক্রিজ ছেড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসে মেরেছেন মোয়েজেস হেনরিকেস। সে শটেই এসেছে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের প্রথম ছয়, ১১তম ওভারে। সে ছয়ও এসেছে শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। নাসুম অবশ্য সে ছয়ের পরই ফিরেছেন ভালোভাবে, বলের গতি কমিয়ে। আগেরদিনই বলেছিলেন, নিজের প্রথম ওভারে ছয় হওয়ার পর সাকিবের পরামর্শে গতি কমিয়ে আরেকটু ফুললেংথে গিয়েছিলেন তিনি।
১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ৫৩
দশম ওভারে মাহমুদউল্লাহ এনেছেন সৌম্যকে। প্রথম বল করতে গিয়ে পিছলে পড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত এক বাউন্ডারিতে দিয়েছেন ৭ রান। ইনিংসের অর্ধেক শেষ হওয়ার পর ৫৩ রান অস্ট্রেলিয়ার। এবারও তাদের আশা হয়ে টিকে আছেন মিচেল মার্শ, ২৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত তিনি।
ফিরলেন ফিলিপে
ফিলিপে বুঝতেই পারেননি আদতে কী ঘটল! লেগস্টাম্পের বাইরে কাটার ছিল মোস্তাফিজুর রহমানের, বলটার লাইন না বুঝেই ব্যাট চালিয়েছিলেন ফিলিপে। তবে সে পর্যন্তই। বল ভেঙেছে স্টাম্প! বলের গতি বা বাউন্স, ফিলিপে বুঝতে পারেননি কিছুই। ১৪ বলে ১০ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়া ওপেনার, তবে ক্রিজে তার অবস্থানের সময়টা ভালো যায়নি মোটেও।
পাওয়ার প্লে শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ৩২ রান। প্রথম ম্যাচে প্রথম ছয় ওভারে ২৮ রান তুলতে তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
নাসুম আহমেদকে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলেছিলেন জশ ফিলিপে। তবে বাংলাদেশের আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে স্পাইক। প্রথম রিভিউ হারাল বাংলাদেশ, অক্ষত ফিলিপে।
তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত বাংলাদেশের
শুরুটা ভালো করেছিলেন, তবে আগেরদিনের ‘হন্তারক’-এর বলে আবারও কাটা পড়লেন অ্যালেক্স ক্যারি। মেহেদী হাসানকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন, পার করাতে পারেননি মিড-অনের ফিল্ডারকে। ১৩ রানে প্রথম ব্রেক থ্রু পেয়েছে বাংলাদেশ। আগেরদিনের মতো এদিনও প্রথম আঘাতটা মেহেদীরই।
নাসুমের ওভারে দুই চার
দুটি রিভার্স সুইপ, দুটিতেই চার। আগের ম্যাচের নায়ক নাসুম আহমেদের ফুললেংথের বলে অ্যালেক্স ক্যারি খেলেছেন দারুণ দুটি শট। ক্যারি আগেরদিন ফিরেছিলেন ইনিংসের প্রথম বলেই। এবার তার শুরুটা হলো ভালো। দুই ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ১১ রান।
মাহমুদুল্লাহর টানা ‘৫’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের তিনটির পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে টসে হারলেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ৪ ম্যাচ টসে হেরে অবশ্য জয় পেয়েছেন তিনটিতে। সব সংস্করণ মিলিয়ে এ নিয়ে ১৩ বার টসে হারলেন বাংলাদেশের এখনকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এর মাঝে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি ম্যাচে।
এ সময়টা যেমন…
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
পরিবর্তন নেই অস্ট্রেলিয়া একাদশেও।
অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড
বাংলাদেশ একাদশ
অপরিবর্তিত আছে বাংলাদেশ একাদশ।
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ
টস
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টসে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। এবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রথম জয়ের রোমাঞ্চ ভুলে বাংলাদেশকে ‘সিরিয়াস’ হতে হবে
২০০৫, কার্ডিফ। ২০১৭, মিরপুর। ২০২১, মিরপুর।
অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে সব সংস্করণেই তাদের হারানোর চক্র গতকাল পূরণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। যেকোনো ‘প্রথম’-এর অনুভূতি সব সময়ই দারুণ ও রোমাঞ্চকর। তবে সেটি মেনে নিয়েও সাবেক ক্রিকেটাররা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে পারে যেকোনো সময়। ফলে পরের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশকে আরও ভালো খেলতে হবে।
ম্যাচে কখনো কখনো অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছিল অস্বস্তিকর গরম। অবশ্য আবহাওয়া যে রকমই হোক, ভিনদেশি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঘরের মাঠের খেলায় সেটা কখনোই অজুহাত হতে পারে না। আবহাওয়া যদি স্বাগতিক ক্রিকেটারদেরই সমস্যায় ফেলে, তাহলে অতিথিদের জন্য সেটা আরও বেশি প্রতিকূলই হওয়ার কথা। অস্ট্রেলিয়া দলের এক ক্রিকেটারকে তো কাল মাঠে বমিও করতে দেখা গেছে!
এবার অস্ট্রেলিয়াও ‘বাংলাদেশ’ দেখবে
টানা ‘দুই’ হবে বাংলাদেশের?
টসের অপেক্ষা
স্বাগতম! মিরপুরে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই টস করতে নামবেন দুই দলের অধিনায়ক।