দিব্যদৃষ্টি

বহুদিন ধরেই ভদ্রলোক অপেক্ষায় আছেন, একদিন নিজেই ব্রোকারেজ ব্যবসা চালু করবেন। আসল পয়সা সেখানেই। সেলস এজেন্ট হয়ে কত টাকাই–বা কমিশন আসে?
পেশাগত কারণেই আকরাম ভাই অতি ব্যস্ত সময় কাটান। তবে মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে এখানে–সেখানে দেখা হয়ে যায়। সেদিন যেমন দেখা হয়ে গেল একটি বাঙালি গ্রোসারি স্টোরে।

বিদেশে স্থায়ী হয়ে গেলেও জিব থেকে আমি বাঙালি স্বাদ সরাতে পারিনি। ঘি মাখানো দেশি টোস্ট বিস্কুট, দেশি চানাচুর ইত্যাদি থেকে শুরু করে দেশি নদী-হাওরের মাছ, দেশি মিষ্টির দোকানের তৈরি মিষ্টি ইত্যাদি খেতে ইচ্ছা হলেই এই গ্রোসারি স্টোরে হানা দিই। স্টোরের মালিক আমার বড় ভাইয়ের মতো, অতি কাছের মানুষ। তাদের ক্যাফেটেরিয়ায় সমুচা, শিঙারা, চা, বিরিয়ানি ইত্যাদি পাওয়া যায়। সঙ্গে পাওয়া যায় মুরগির কিমা দিয়ে তৈরি চিকেন ললিপপ। আমার সাড়ে চার বছর বয়সী ছেলে আবার এ বিশেষ খাবারের একনিষ্ঠ ভক্ত। এ দোকানে এলেই সে বায়না ধরে চিকেন ললিপপের। আগে ওকে দু–তিনটা কিনে দিই, তারপরে ও খেতে থাকে আর আমরা বাজার শুরু করি।

এই চিকেন ললিপপ কিনতে গিয়েই আকরাম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা। তিন–চার মাস পরে তো অবশ্যই। স্বভাবসুলভ উৎফুল্ল কণ্ঠে তিনি বলে উঠলেন, ‘আরে তুমি যে! কী খবর? অনেক দিন কোনো খোঁজ নেই!’