কিশোরগঞ্জ সদরে মারা যাওয়া নারী করোনা পজেটিভ ছিলেন

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার (২ জুন) মারা যাওয়া রাবিয়া আক্তার (৭২) এর কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। মারা যাওয়ার আগে করোনাভাইরাস সন্দেহে গত ৩১ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

মারা যাওয়া রাবিয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের মৃত মুসলেহ উদ্দিনের স্ত্রী।

এছাড়া শুক্রবার (৫ জুন) রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাকি ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী।

করোনা পজেটিভ ৬ জন নারীর মধ্যে ১০ বছর বয়সী এক শিশু ছাড়া বাকি ৫ জনই গৃহিণী।

অন্যদিকে করোনা পজেটিভ ১০ জন পুরুষের মধ্যে চিকিৎসক, ব্যাংকার, কলেজ শিক্ষক, ছাত্র, পল্লী চিকিৎসক, বিকাশ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬৫ জন। শুক্রবার (৫ জুন) নতুন করে আরো ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে।

আক্রান্ত এই ৮২ জনের মধ্যে তিনজন মৃত ব্যক্তি রয়েছে। তিনজনেরই মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মৃত তিনজনের মধ্যে গত ১৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০), গত ২৮ মে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের অষ্টবর্গ গ্রামের তারা মিয়া (৪৫) এবং সর্বশেষ ২ জুন সদর উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের রাবিয়া আক্তার মারা যান।

বাকি ৭৯ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২২ জন করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া ৫৭ জন হাসপাতাল ও বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ