পাকুন্দিয়ায় ড্রেজিং মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন
মো. মনজুরুল হক মঞ্জ ু
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নদীর পাড়ে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গত ১৮ মার্চ উপজেলার বাহাদিয়া এলাকার সেনা সদস্য (অব:) মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রতিকার চেয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও দিয়ে প্রবাহমান পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি। কিছুদিন আগে ড্রেজিং করে ব্রহ্মপুত্রকে নৌচালালের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তাই গাজীপুরের চোট এলাকা থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও পর্যন্ত মোট ১৩ কিলোমিটার নদ এলাকা টেন্ডারের মাধ্যমে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিআইডব্লিউটিএ কাজ দেয়। টেন্ডার নোটিশে এই ১৩ কিলোমিটার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ উল্লেখ করা থাকলেও বাস্তবে তা মানছেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ প্রতিবছর ভাঙ্গণে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের সুবিধার্থে মুল পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং না করে ভাঙ্গন কবলিত জনগণের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি ড্রেজিং করার অভিযোগ রয়েছে। এতে ভাঙ্গণ এলাকার মানুষ বাপ-দাদার ভিটে-বাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে।
অভিযোগকারী সেনা সদস্য (অব:) মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করলে তাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ময়মনসিং-গাজীপুরের মূল নদের অংশে ড্রেজিং না করে আমাদের উপজেলার সীমানায় ড্রেজিং করছে। এতে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হত দরিদ্র পরিবার নদী ভাঙ্গনের হুমকীতে বাড়ি ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান জানান, রেকর্ডে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র গাজীপুর-ময়মনসিংহ জেলার সীমানায় হলেও বর্তমানে এই নদের পানি প্রবাহের গতিপথ কিশোরগঞ্জের সীমান্তে রয়েছে। তাই এই গতিপথেই ড্রেজিং হচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ইতিপূর্বে তিনজনকে আটক করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শীঘ্রই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।