দাকোপে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত গ্রেফতার-১।

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার দাকোপের বাজুয়া এলাকায় নামযজ্ঞে এসে রামপালের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। রক্তাক্ত মারাত্মক আহত অবস্থায় ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জনতার সহায়তায় একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বাজুয়ায় নামযজ্ঞ শোনার উদ্দেশ্যে সে রামপাল থেকে বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি এলাকায় তার মামা বাড়ীতে আসে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সে তার মামাদের সাথে নাম যজ্ঞ মেলার মাঠে যায়। সেখানে একটি টেবিলে বসে তারা খাবার খাওয়ার সময় ৫/৬জন যুবক এসে তাদের সরে গিয়ে পাশে জমির আইলে বসতে বলে। সে মোতাবেক কিছুণ পর অচেনা ওই যুবকরা এসে তার মামাদের বেঁধে মারতে মারতে বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে একটি কাঁটা বাগানের পাশে নিয়ে একাধিক যুবকরা তাকে ধর্ষন করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে। যাওয়ার সময় তারা মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে বলে কাউকে জানালে তোর এই ভিডিও সবাইকে দেখাব এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেব। তোদের সবাইকে পুলিশে চালান করে দেব। এ ঘটনা জানাজানি হলে মাঠে উপস্থিত জনতা চুনকুড়ি এলাকার রফিকুল ইসলাম (৩২) নামের একজনকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। এদিকে ধর্ষিত ওই ছাত্রীর স্বজনরা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনাা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। মামলার পরে আপনাদের সব জানাব। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভূক্তভোগীর পরিবারের প থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

দাকোপে মানব সেবায় মুক্ত প্রাণ সেবা সংঘ।

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপে দরিদ্র ও হত-দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানব সেবায় অবদান রেখে চলেছে মুক্ত প্রাণ সেবা সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এ উপজেলায় শুরু হয় সুপেয় পানির চরম সংকট। যে কোনো লোক সমাগমে পানির সংকট মোকাবেলা এবং মানুষকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য এগিয়ে আসে ওই মুক্ত প্রাণ সংগঠনটি। যেমন ঈদ, ওয়াজ মাহফিল, যজ্ঞানুষ্ঠান, বড়দিন, বড় রাজনৈতীক কোন সমাবেশে আহবান এলেই পানি সরবারাহের জন্য ছুটে যায়। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে মুমুর্ষ রুগীকে রক্তদান, দরিদ্র ও অসহায় রুগীদের সাধ্যমত আর্থীক সহায়তা, হিন্দু তীর্থ যাত্রীদের স্বল্প মূল্যে তীর্থ ভ্রমনের ব্যবস্থা করা, এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বজায় রাখার জন্য সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে সভা করা, এলাকার উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা, মহা-দূর্যোগ দেখা দিলে প্রতিবন্দি, অসহায় মানুষদের বিভিন্ন সহযোগীতা করা সংগঠনটির মূল বৈশিষ্ট্য। লাউডোব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোজিত রায় বলেন ‘মুক্ত প্রাণ সেবা সংঘটি’ দীর্ঘদিন যাবৎ নিঃস্বার্থে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সংগঠনটির উন্নতি কামনা করি। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাজুয়া নাম যজ্ঞানুষ্ঠানে পানি সরবারাহের সময় কথা হয় সংগঠনটির সভাপতি নীহারঞ্জন বর্মন, সহ-সভাপতি বিমলেন্দু বিশ্বাস, সম্পাদক বিকাশচন্দ্র মন্ডল, কোষাধ্য অনিল কৃষ্ণ মন্ডল সাথে। আলাপকালে তারা জানান নিজেদের ুদ্র ুদ্র সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছে। সরকারী বা বেসরকারী কোন অনুদান পেলে বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে তাদের।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ