কেশবপুরের ১১ ইউনিয়নের ৯ ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার নেই
তন্ময় মিত্র বাপী, (যশোর) : যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সেসহ ১১ ইউনিয়নের ৯ টি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবায় ধস দেখা দিয়েছে। ১০ টি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে নেই কনো ডাক্তার, যার কারণে ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ব্যহত হচ্ছে সরকারের জনগণের চিকিৎসা সেবার প্রচেষ্টা। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে কর্মরত কিছু ডাক্তারদের অবহেলা, উদাসীনতার কারণে কেশবপুরের মানুষ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স বিমূখ হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে রোগী বের হওয়ার সাথে সাথে কিছু ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা তাদের পেসক্রিপশন নিয়ে সেল ফোনে ছবি তোলে। এতে বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে বেশিরভাগ রোগীদের। স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে অপারেশনের জন্য আসা অনেক রোগীকে অপারেশন বা চিকিৎসা সেবা না দিয়ে অধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার অজুহাতে শহরে তাদের নিজস্ব চেম্বারে নিয়ে যান বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার সংকটের কারণে গ্রামের রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা নিয়মিত অফিসে আসেন না । জানা যায় ১৯৭৮ সালে ৩১ শর্য্যা বিশিষ্ট কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটি প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০০ সালে তা ৫০ শর্য্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে সার্বক্ষণিক লোকবলের অভাব থাকায় এখানকার মানুষ অনেক সময় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ১৯৯ টি পদের মধ্যে ৬৫টি পদ শূন্য। ৩১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়নসহ আছে ১৫ জন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলে ও আছে ১৪ জন । ৭ জন ডাক্তারের পদ শূন্য । এছাড়াও ইউনিয়ন উপÑস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০ জন ডাক্তরের স্থানে ১ জন ডাক্তার রয়েছে ৬নং সদর ইউনিয়নে । বাকী ৯ টি ইউনিয়নে পদ শূণ্য। নার্সের পদ খালী ১জন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার আছে ২৪ জন । খালী আছে ৩টি পদ। এছাড়া ও শূণ্য আছে অফিস সহকারি পদ ৩, পরিসংখ্যানবীদ ১, ফামাসিষ্ট ১, জুনিয়র মেকানিক ১, প্রধান সহকারি ১, ক্যাশিয়ার ১, মালি ১, নিরাপত্তা প্রহরী ১, ক্লিনার ১, মিডওয়াইফ ৪, ওর্য়াডবয় ১ খালী রয়েছে। কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে বর্তমানে ১৪ জন ডাক্তার ও ২০ জন নার্স এবং অপারেশনের সকল যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও অনেক রোগীকে অপারেশন করা হয় না বলে অভিযোগ। এদিকে বাউশলা গ্রামের জোহর সরদারের ছেলে জসিম উদ্দিন এলার্জি জনিত রোগের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের জনৈক এক ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি কমিশন বাণিজ্যের আশায় তার রক্তের পরীক্ষা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে না করে হাসপাতালের সামনে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ আবু শাহীন জানান, কেশবপুর ৬নং সদর কমিউনিটি ইউনিয়নের জন্য শুধু ডাক্তার নিয়োগ আছে। অন্য ৯টি ইউনিয়নের ডাক্তারদের পদ শূণ্য। শূণ্য পদে পদায়নের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে । শূণ্যপদ পূরণ হলে স্বাস্থ্য সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে ।