পত্নী তলায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বনভূমির জমি অন্যের নামে রেজিস্ট্রির অভিযোগ
দিলিপ চৌহান, পতœীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর পাইকবান্দা রেঞ্জের প্রায় ৩ একর জমি এলাকার কুচক্রি মহল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দালালদের যোগসাজসে ব্যক্তি মালিকানায় জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ হয়েছে। জানাগেছে, সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর পাইকবান্দা রেঞ্জের অধীনে পতœীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় ৭১৮৯.৯৩ একর সংরক্ষিত, রক্ষিত ও অর্পিত বনভূমি বিদ্যমান। উক্ত সংরক্ষিত বন ভূমির শতকরা প্রায় ৫০% বন বিভাগের নামে আর,এস রেকর্ড না হওয়ায় একটি কুচক্রি মহল বন বিভাগের উক্ত জমি গুলি জবর দখল করে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের সাথে সরকারী অধিকার খর্ব করছে। যা ইতি পূর্বে আইনি জটিলতায় বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহল সুযোগ বুঝে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর মাধ্যমে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে পতœীতলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দালালদের যোগসাজসে ব্যক্তি মালিকানায় জমি রেজিস্ট্রি করার কথা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পেরে পতœীতলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপজেলার আলপাকা মৌজার ৩নং খতিয়ানের ২৪৯ নং দাগে (আর,এস ৪৭৭, ৪৭৯) বন বিভাগের প্রায় ৩ একর রক্ষিত বনভূমি রেজিস্ট্রির তথ্য নেয়ার আবেদন জানান। পতœীতলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য অনুযায়ী দুটি দলিল নং ৬৪৭০/২০১৬, তারিখ ২১/১১/২০১৬ এবং ৫৫৬২/২০১৫, তারিখ ২৪/৮/২০১৫। জমির পরিমান ০.২৫ একর ও ০.৪৯ একর। এবিষয়ে পাইকবান্দা রেঞ্জের রেঞ্জার রবিউল ইসলাম জানান, বন বিভাগের আলপাকা মৌজার উক্ত ভূমি সম্পূর্ন ভাবে রক্ষিত বন ভূমি। যার খতিয়ান বন বিভাগের নামে এবং ১৪২৪ সাল (বাংলা) পর্যন্ত বন বিভাগ যার খাজনা পরিশোধ করেছে। বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে বহু পূর্ব থেকেই সরকারী বন ভূমির গেজেট নটিফিকেশনের কপি সরবরাহ করেছে। পরবর্তিতে পূনরায় বন বিভাগ লিখিত পত্রের মাধ্যমেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উক্ত গেজেট নটিফিকেশনের কপি সরবরাহ করেছে।
বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ আবারো উপরোক্ত বিষয়গুলি জানিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বন বিভাগের কোন জমি রেজিস্ট্রি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করলেও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দালালদের যোগসাজসে উক্ত কুচক্রি মহল আবারো ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ দুটি দলিল এবং ৩০ জানুয়ারী ২০১৮ একটি দলিল সম্পন্ন করেছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পেরে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ পুনরায় উক্ত তথ্য চেয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করলেও অদ্যবধি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কোন তথ্য সরবরাহ করা হয়নি বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, উক্ত বিষয়ে বন বিভাগের একক ভাবে জাল জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এরূপ ভূয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে কুচক্রি মহল জাল দলিল সম্পাদন করলে পরবর্তিতে ভূমি অফিসে ব্যক্তি নামে নাম জারি হওয়ার পরে উক্তরুপ বনভূমি জবর দখল প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে যেয়ে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ হলে বন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রতি আঘাত জনিত কারনে আইনি প্রতিকার জটিল হবে।
এবিষয়ে পতœীতলা সাব-রেজিস্ট্রার বসু প্রদীপ কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে বনবিভাগের অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন।