নাটোরে চন্দনা নদী দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ
নাটোর প্রতিনিধি :নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুরে রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চন্দনা নদী দখল করে অবৈধভাবে দ্বিতল পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে নদী দখল করে অবৈধভাবে দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করা হলেও এতে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হবে। এছাড়া নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে নদীর অবৈধ দখল ঠেকাতে স্থানীয়রা লালপুর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও দৃশ্যত কোন প্রতিকার মেলেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নবনির্মিত দ্বিতল এই দোকানের ঘর ভাড়া দিয়ে চলছে রীতিমত চলছে ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান, দিলালপুর রায়পুর গ্রামের তালেব আলীর ছেলে বাবলু, মায়নুর ও একই গ্রামের মৃত মসলেম আলীর ছেলে আনোয়ার আলী গত ২০১৭ সালের মে মাস থেকে চন্দনা নদীর উপর আর সি সি পিলার দিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করে, যা বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ একটি দ্বিতল পাকা দোকান ঘরে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি নির্মাণকারীদের অন্যতম মায়নুর মারা গেছেন। গতবছর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু তাহির একবার ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক ভাবে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার কাজ শুরু করে। দোকান ঘরগুলো বর্তামানে টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া আছে। ঘর নির্মাণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলে না।
নদীর উপর ঘর নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত দখলদার বাবলু বলেন, ‘ক্লাব হিসেবে ঘরটি তৈরী করা হয়েছে। এই এলাকার ছেলেরা খেলাধুলা করে।’ তবে ভাড়া দেওয়ার বিষটি তিনি অস্বীকার করেছেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে অনেক বার জানিয়েছি কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে বছর পার হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। এই নদীর অবৈধ দখল বন্ধে অনেক চেষ্টা করা হলেও বারবার তা দখলদারদের কব্জায় চলে যাচ্ছে। ’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, নদীর উপর অবৈধ স্থাপানা উচ্ছেদের জন্য নথি তৈরী হচ্ছে। শীঘ্রই এটি দখলমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নদীটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।