এখন সকল বয়সের মানুষ সহ চাকরীজীবীরা কেন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে?
কম বেশি সবারই ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছা আছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং একধরণের মুক্ত পেশা যা যেকোন জায়গায় বসে করা যায়। বাসায় থেকে ও কাজ করা যায়।
বেশির ভাগ মানুষ মনে করে ফ্রিল্যান্সিং করা খুবই সহজ। আবার অনেকে ভাবেন যে ফ্রিল্যান্সিং করলে অনেক টাকা আয় করা যায়। হঁ্যা এটা ঠিক যে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করা যায়। কিন্তু তার জন্য দরকার ধৈর্য আর ইচ্ছা শক্তির। অনেক ব্যক্তি আছেন যারা মোটে ও পরিশ্রম করতে চান না। তারা আবার ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। কিন্তু তারা জানেন না যে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কী পরিমান পরিশ্রম করতে হয়। শুধু ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে যে পরিশ্রম করতে হয় তা নয়। সব ধরণের কাজের ভিতর পরিশ্রম আছে তবে কম আর বেশি। অন্য কাজের থেকে ফ্রিল্যান্সিং এ একটু পরিশ্রম বেশি। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে অন্য কাজের থেকে পরিশ্রম বেশি কেন বললাম জানেন? কারণ ফ্রিল্যান্সিং এ মেধা দিয়ে কাজ করতে হয়। পৃথিবীতে যত ধরণের কাজ আছে তার ভিতর শারীরিক পরিশ্রমের তুলনায় মানসিক পরিশ্রম বেশি। ফ্রিল্যান্সিং বলতে কোন নির্দিষ্ট কাজকে বোঝায় না। ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন ফেসবুক মার্কেটিং করে ফ্রিলান্সিংকরা যায়, তারপর ওয়েব ডেভেলপার হয়ে ও ফ্রিলান্সিং করা যায়, তারপর আছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এটা দিয়ে ও ফ্রিলান্সিং করা যায়, তারপর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে ও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।
এছাড়া আরও কাজ আছে যা দিয়ে ফ্রিলান্সিং করা যায়। ফ্রিলান্সিং করতে হলে যে কোন কাজ ভালো করে শিখতে হবে। তা না হলে আপনি তো আর ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন না। এই কাজ শেখার জন্য আপনাকে করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। পরিশ্রম ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব নয়। ফ্রিলান্সিং হলো এমন একটি বিষয় আপনাকে একজন কাজ দিবে আর আপনি তার সেই কাজ করে দিলে আপনাকে একটা পারিশ্রমিক দিবে। এই লেনদেনটাই হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিলান্সিং করতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এই পরিশ্রম বেশি করতে হবে কাজ শেখার সময়। আপনাকে যে কাজ দিবে সে তো আর আপনাকে ফ্রি টাকা দিবে না। সে আপনাকে টাকা দিবে আর তার বিনিময়ে আপনাকে ও কিছু দিতে হবে। সেটি হলো কাজ, এই কাজ যদি তার পছন্দ না হয় তাহলে সে তো আর আপনাকে কাজ দিবে না।
source: viral bd