পেটপুরে খেলেন ৫ হাজার ভ্যানচালক বালিয়াকান্দি

(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

অটো-ভ্যান-নছিমন চালকদের সম্মানে দুপুরে ভোজের আয়োজন করেছেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। বুধবার দুপুরে এ ভোজে অংশ নেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৫ হাজার চালক।

অনুষ্ঠানে রান্নার কাজে নিয়োজিত বাবুর্চি শাহাবুদ্দিন শেখ ও কসাই জীবন শেখ জানান, ৫ হাজার অটো-ভ্যানচালকের জন্য রান্না করা হয়েছে। রান্না ও মাংস তৈরি করার কাজে ১০০ জন কাজ করেন। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় এই মহাযজ্ঞ। ৫ হাজার মানুষের জন্য ৪০ মণ মহিষ ও ৫ মণ মুরগির মাংস, ৩০ মণ চাল, ৭ মণ ডাল ১০০ ড্যাগে (পাতিল) রান্না করা হয়। মিনারেল পানির ব্যবস্থা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে দলীয় নেতারা আমন্ত্রিত নয়। পুরো আয়োজন ছিল অটো-ভ্যানচালকদের জন্য। তারাই এমপির আমন্ত্রিত অতিথি। তাদের বসার জন্য বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্যান্ডেল করা হয়।

বহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের তদারককারী মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, অনুষ্ঠানের এক দিন আগেই সাতটি ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারদের মাধ্যমে চালকের কাছে এমপির আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে এনে তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে সেখানে দলে দলে প্রবেশ করেন চালকরা। সবার গলায় ঝোলানো আমন্ত্রণপত্র। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এমপি জিল্লুল হাকিম। দুপুরে সবার সঙ্গে খেয়েছেন এমপি।

নবাবপুরের বকশিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হাসান মিয়া (৭০) বলেন, ‘জীবনে কোনোদিন মেম্বাররা খোঁজ নেয়নি আমার। একজন এমপি গরিবদের কথা মনে রেখেছেন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

জামালপুর ইউনিয়নের খামার মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা নছিমন চালক মো. দাউদ মোল্লা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময় তারা চাল-ডাল কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। মাংস খাওয়া তো দূরের কথা। প্রায় বছরখানেক পর তিনি মাংস দিয়ে খেতে পারলেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় কেঁদে ফেলেন তিনি।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম জানান, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এই আয়োজন। তাদের সঙ্গে দু’মুঠো খেতে পেরে আনন্দিত আমি। আগামী দিনেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ