শুধু রেড জোনে সাধারণ ছুটি চলবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ জুনের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো অফিস খোলা থাকবে। তবে যেসব এলাকায় রেড জোনের কারণে লকডাউন চলবে সেখানে সাধারণ ছুটি থাকবে। আর জোনভিত্তিক লকডাউনের ঘোষণা দু-এক দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘১৫ জুনের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো অফিস খোলা থাকবে। পাশাপাশি গণপরিবহনও চলবে। এ বিষয়ে আমরা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে একটি সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অনুমোদন পেলেই তা চূড়ান্ত করা হবে। পরে প্রজ্ঞাপন আকারে তা জারি করা হবে।’

প্রজ্ঞাপন আজ অথবা আগামীকাল রোববার আসতে পারে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থায় আছে সেভাবেই চলবে। নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হবে না। শুধুমাত্র যে এলাকা রেড জোনের আওতায় ও লকডাউনে থাকবে সেখানে সাধারণ ছুটি থাকবে। যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেশি সেখানে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। অন্যান্য এলাকায় আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে।’

‘আমরা এখন জোন করায় চলে যাচ্ছি। ঢাকাসহ যেসব এলাকায় বেশি আক্রান্ত থাকবে সেখানে রেড জোন ঘোষণা করে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেড জোনে লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলক লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সে অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে কোনো এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা হলে কাজে লগানো হবে। ছোট ছোট এলাকা নিয়ে লকডাউন করা হবে। সেখানে কমিটি করে দেওয়া হবে। কমিটি সার্বিকভাবে বিষয়টির দেখভাল করবে।’

ঢাকাসহ কোন কোন এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হবে তা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি খুব শিগগিরই একযোগে ঘোষণা করা হবে। একসঙ্গে ঘোষণা না দিলে এসব এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় চলে যাবে। সে বিষয়ে কৌশল অবলম্বন করা হবে।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মিডিয়া সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লকডাউন নিয়ে গতকাল (শুক্রবার) মিটিং ছিল। সেখানে জোনিং নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ টিম এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে কাজ করছে।’

দু-এক দিনের মধ্যে জোনের ঘোষণা আসবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাতে লোকজন চলে যেতে না পারেন সে জন্য ঢাকাসহ সারা দেশের জোনিং ঘোষণা একযোগে করা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশের যে যে এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হবে সেটি স্থানীয়ভাবে প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজাদ আরো বলেন, ‘সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন তারা এখন যেখানে লকডাউন ঘোষণা করা দরকার মনে করবেন সেখানে ঘোষণা করবেন। আজকে আমরা মানিকগঞ্জের একটি এলাকা লকডাউন করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি।’

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬৫ দিন সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে অফিস খুলে দেয়া হয়। পাশাপাশি গণপরিবহনও খুলে দেয়া হয়। পরে ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

%d bloggers like this: