কাল থেকে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খোলা
নয়টি শর্তসাপেক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব মসজিদ খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আজ বুধবার জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হবে। তবে মসজিদে জামাতের ক্ষেত্রে শর্ত দুজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
- প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে
- মসজিদে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার বা হাত ধোঁয়ার সাবান রাখতে হবে
* অজু বাসা থেকে করে আসতে হবে
* সুন্নত নামাজ বাসায় আদায় করতে হবে
* নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সময় তিন দূরত্ব দাঁড়াতে হবে
* মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না
* মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না
* মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না
* শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবে না
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, স্টাফ ছাড়া অর্থাৎ খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমরা ছাড়া কেউ মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবে না। ঘরেই নামাজ আদায় করতে হবে।
তার আগে ৬ এপ্রিল করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরেই সব নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে পাঁচটি দফা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ব্যতীত অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন ও জুমার নামাজে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করতে হবে। এতদিন ওই নির্দেশনাটিই বলবত ছিল। তারাবির জন্যও একই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিন এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।