৫৯ রানে অলআউট আফগানিস্তান, বড় জয় পাকিস্তানের

শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান এ দিন গুটিয়ে যায় ২০১ রানে। সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ওপেনার ইমাম-উল-হক।১০ উইকেটের আটটিই নেন আফগানিস্তানের স্পিনাররা। অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। আরেক অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবির শিকার ৩৪ রানে ২টি। লেগ স্পিনার রশিদ খানের প্রাপ্তিও ২ উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে মাত্র ৫৯ রানে থমকে যায় আফগানিস্তান। এই সংস্করণে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ২০১৬ সালে শারজাহতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৮ রান তাদের সর্বনিম্ন। পাকিস্তানের তিন পেসার মিলে নেন ৮ উইকেট। গতি ও সুইংয়ে দুর্দান্ত এক স্পেলে ৬.২ ওভারে ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রউফ। ওয়ানডেতে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন তিনি। ৬৫ রানে ৪ উইকেট ছিল তার আগের সেরা বোলিং। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৯ রানে নেন শুরুর ২ উইকেট। নাসিম শাহর প্রাপ্তি ১২ রানে একটি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারের মধ্যে ফখর জামান ও বাবরকে হারায় পাকিস্তান। পেসার ফজলহক ফারুকির আউটসুইঙ্গারে স্লিপে ধরা পড়েন ফখর। মুজিবের দারুণ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বাবর এলবিডব্লিউ হন শূন্য রানে। দারুণ কয়েকটি বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস টেনে নিতে পারেননি তিনি। ৪টি চারে ২২ বলে ২১ রান করা এই কিপার ব্যাটসম্যানকেও এলবিডব্লিউ করেন মুজিব। সপ্তদশ ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে গুগলিতে আঘা সালমানকে এলবিডব্লিউ করেন রশিদ। ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। মাঝে ৭০ বলে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমাম প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে। এই দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ম্যাচের একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। ইফতিখারকে (৪১ বলে ৩০) ফিরিয়ে প্রথম শিকার ধরেন নবি। ৭৮ বলে ফিফটির পর আর বেশিদূর যেতে পারেননি ইমাম। নবিকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় রশিদের দারুণ ক্যাচে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ইমামের ৯৪ বলে ৬১ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ২টি। উসামা মির ও শাহিন শাহ আফ্রিদি দ্রুত বিদায় নিলে ১৬৩ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তানের দুইশ হওয়া নিয়েই জাগে শঙ্কা। এরপরই নবম উইকেটে নাসিমকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন শাদাব খান। ৫০ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করে শাদাব হন রান আউট। পরের ওভারে রউফকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন রহমত শাহ। নাসিম অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ১৮ রান করে।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সুর বেঁধে দেন আফ্রিদি। বাউন্সার ডেলিভারিতে ইব্রাহিম জাদরান ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ফুল টস বলে সহজ ক্যাচ দেন রহমত। নাসিমের বলে শাদাবের অসাধারণ এক ক্যাচে বিদায় নেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। তিন জনের কেউ খুলতে পারেননি রানের খাতা। প্রায় চার বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে ইকরাম আলিখিল আউট হন ৪ রান করে। অষ্টম ওভারে আফগানিস্তানের রান তখন ৪ উইকেটে ১৮। এরপর নবিকে নিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৪৭ রানে ১৮ রান করা গুরবাজকে থামান রউফ। ২৯ বছর বয়সী পেসার পরের ওভারে বিদায় করেন নবি ও রশিদকে। ১২ বলে ১৬ রান করে ক্রিজ ছাড়েন ওমরজাই। ম্যাচে নিজের একমাত্র ওভারে আব্দুর রহমানকে ফিরিয়ে উইকেট মেডেন নেন স্পিনার শাদাব। মুজিবকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করার পাশাপাশি ম্যাচের ইতি টেনে দেন রউফ। একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৪৭.১ ওভারে ২০১ (ফখর ২, ইমাম ৬১, বাবর ০, রিজওয়ান ২১, সালমান ৭, ইফতিখার ৩০, শাদাব ৩৯, উসামা ২, আফ্রিদি ২, নাসিম ১৮*, রউফ ১; ফারুকি ৮-০-৫১-১, মুজিব ১০-১-৩৩-৩, ওমরজাই ৪.৪-০-১২-০, নবি ১০-০-৩৪-২, রাশিদ ১০-০-৪২-২, রহমান ৩.২-০-২৩-০, রহমত ১.১-০-৬-১)

আফগানিস্তান: ১৯.২ ওভারে ৫৯ (গুরবাজ ১৮, ইব্রাহিম ০, রহমত ০, শাহিদি ০, ইকরাম ৪, নবি ৭, ওমরজাই ১৬ (আহত অবসর), রাশিদ ০, রহমান ২, মুজিব ৪, ফারুকি ০; আফ্রিদি ৪-২-৯-২, নাসিম ৫-০-১২-১, রউফ ৬.২-০-২-১৮-৫, উসামা ৩-০-১৮-০, শ আদাব ১-১-১-১)

ফল: পাকিস্তান ১৪২ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে পাকিস্তান

ম্যান অব দা ম্যাচ: হারিস রউফ

Credit:Bangladesh Pratidin

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries