এখন থেকে বাক-প্রতিবন্ধীদের কথা বুঝতে পারবে সাধারণ মানুষ
আরিফ হাসান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরা ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৩ দিনব্যাপী ৩৯তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। উক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে অংশ নিয়েছিল শহরের ডজনখানেক স্কুল-কলেজ মিলিয়ে তিন ডজন স্টল।
আজ ছিল উক্ত আয়োজনের সমাপনী দিন। শেষ দিনে তাই মেলায় ছিলো উপচে পড়া ভিড়। সকল বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছিল মেলা প্রাঙ্গণ।
আজকের সমাপণী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. আক্তারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত কুমার সেন প্রমুখ।
উক্ত বিজ্ঞান মেলায় প্রোজেক্টভিত্তিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান আইটি ও গণিত ক্লাবের ‘টিম রোবোসিক্স’। সেরা নির্বাচিত হওয়া প্রোজেক্টটির নাম “E-Assistant For Dumb and Deaf People.” প্রোজেক্টটির উদ্ভাবক: এইচ. এম. ইবতিহাল উৎস (দলনেতা), শামসুল আলম আকাশ, মাহাদি জুবায়ের এবং নাহিয়ান আব্দুল্লাহ।
প্রোজেক্টটি কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি: প্রোজেক্টটি যেসকল মানুষ বাক-প্রতিবন্ধী,মূলত তাদের উদ্দেশ্যে উদ্ধাবন করা হয়েছে। আমরা জানি যে, বাক-প্রতিবন্ধীরা কথা বলতে না পারায়, ‘সাইন ল্যাংগুয়েজ’ ব্যাবহার করে, মনের ভাব প্রকাশ করে। কিন্তু, এই ‘সাইন ল্যাংগুয়েজ’ টি জনসাধারণ বুঝতে পারে না। এজন্য বাক-প্রতিবন্ধীরা অপর এক সাধারণ মানুষের সাথে কথোপকথন করতে পারে না, মনেরভাব প্রকাশ করতে পারে না। এই প্রোজেক্টটি বাক-প্রতিবন্ধীদের এই সাইন ল্যাংগুয়েজ যেন জন-সাধারণ বুঝতে পারে, এজন্য বানানো হয়েছে।
প্রোজেক্টটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: কোনো বাক-প্রতিবন্ধী যখন তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য তার হাত ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইন দেখাবে, তখন সেই সাইনটি প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে কনভার্ট হয়ে “Voice and Text” এ রূপান্তর হবে এবং সেই সাইন এর ভিত্তিতে তার বলতে চাওয়া কথাটি আউটপুট হবে, সাউন্ড এর মাধ্যমে এবং সাউন্ড আউটপুট এর পাশাপাশি একটি টেক্সট ও আউটপুট হবে।
উপকারিতা: এই প্রোজেক্টটির মাধ্যমে ,বাক-প্রতিবন্ধীরা খুব সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবে এবং জনসাধারণ খুব সহজেই বাক-প্রতিবন্ধীর সেই মনের ভাবটা বুঝতে পারবে।