দাকোপে এলাকাবাসীর সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার দাকোপে সিজারিয়ান অপারেশনকালে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তার সন্তোষ মজুমদারের শাস্থির দাবীতে এলাকাবাসীর বিােভ সমাবেশ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে। স্কুল শিক শামসুর রহমানের স্ত্রী ৬ বছর বয়সি পুত্রের জননী রেক্সনা বেগম গর্ভবতী হলে শুরু থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সন্তোষ কুমার মজুমদারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল। ডাক্তার সকল পরীার পর গত ১২মার্চ সন্তান প্রসবের সাম্ভব্য তারিখ রেক্সনার পরিবারকে জানিয়ে দেয়। গত ৭ মার্চ গর্ভবতীর শাররীক অসুস্থতা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে সন্তোষ মজুমদারের কাছে নেওয়া হয়। এ সময় ডাক্তার রোগীকে তাৎনিক সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার বিষয়টি রেক্সনার পরিবারকে জানিয়ে ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে ফের সুতা ঔষধ ও রক্ত নিয়ে দীর্ঘন চিকিৎসা করায় এমন মন্তব্য তার পরিবারের। দীর্ঘ সময় লাগার ব্যাপারে জানতে চাইলে কোন সমস্যা নেই বলে ডাক্তার জানায়। এরপর রোগীকে বেডে নিলে তার পেটের বাম পাশ দিয়ে রক্ত প্রবাহের পাইপ লাগানো অবস্থায় দেখা যায়। রোগী যন্ত্রনায় কাতর হলে ডাক্তারকে ডাকলে তিনি যথা সময়ে আসেনি এমন অভিযোগ পরিবারের। এক পর্যায়ে ডাক্তার তাদেরকে রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক খুলনা গাজী মেডিকেলে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানায়। পরেরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রেক্সনার ভাই আমজাদ সানা জানায় সেখানকার চিকিৎসকদের অভিমত সিজার করার সময় রোগীর একটি রক্তনালী কাটা পড়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় হাসপাতালের সামনে শত শত নারী পুরুষ অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্থির দাবীতে মানববন্ধন ও বিােভ সমাবেশ করে। এ সময় বক্তৃতা করেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সুভদ্রা সরকার, কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতা ফোরামের সভাপতি ও দাকোপ প্রেসকাবের সাবেক সম্পাদক আজগর হোসেন ছাব্বির, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম আক্কেল, দাকোপ প্রেসকাবের সভাপতি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, মৃত্যুবরনকারী গৃহবধুর স্বামী শিক্ষক শামসুর রহমান, শেখ শাকিল আহম্মেদ দিলু, ইউপি সদস্য মনিরুল শিকদার, হিমাংশু সরকার, কিশোর রায়, সাগর সেন, অমল গোলদার, মাষ্টার গোলাম কাদের, আলহাজ্ব মোল্যা নজরুল ইসলাম, মাওলানা ইকবল শেখ, কনিকা মন্ডল, রাজ্জাক শেখ, মিজানুর রহমান প্রমুখ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলমের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডাক্তার সন্তোষ মজুমদার সিজারিয়ান সেকশনে রক্তনালী কাটার কোন সুযোগ নেই দাবী করে বলেন, অপারেশনকালে এমন অস্বাভাবিক কোন রক্ত নির্গত হচ্ছিলনা। বরং রোগীর প্রেসার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ঝুকি না নিয়ে তাকে খুলনায় পাঠানো হয় বলে তিনি দাবী করেন।