কয়রায় সাব রেজিট্রি অফিসের অচল অবস্থা নিয়ে রেজিষ্টার ও দলিল লেখকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
কয়রা প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলার সাব রেজিট্রি অফিসের অচল অবস্থা নিয়ে রেজিষ্টার ও দলিল লেখক সমিতির পাল্লাপাল্টি অভিযোগ চলছে। ফলে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্বের টাকা এবং সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলম বিরতি রেখে মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে উপজেলা সাব রেজিষ্টার মোঃ জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান দলিল লেখকদের বিভিন্ন অনৈতিক কাজের দাবী মেনে না নেওযায় তারা এধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে। জানা গেছে কয়রা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে প্রতি সপ্তায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকেন। এ বিষয় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অসুস্থ থাকায় সমিতির সিনিয়র সদস্য আঃ সালাম জানান সাব রেজিষ্টার মোঃ জামাল হোসেন দলিল দাখিলের পূর্বেই দলিল প্রতি ২,০০০ টাকা দিয়ে দলিল জমা দিতে বলেন, এছাড়া দাতা গ্রহীতার জাতীয় পরিচয় পত্র সঠিক নয় বলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন লেখকদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি সহ বিভিন্ন সঠিক কাগজ পত্র কে সঠিক নয় বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। সে জন্য তারা সাব রেজিষ্টারের দূর্নীতির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে সাব রেজিষ্টার মোঃ জামাল হোসেন এসব অভিযোগ কে অস্বীকার করে বলেন, তিনি নতুন চাকুরীতে যোগদান করেছেন। যে কারনে দলির লেখকদের বড় ধরনের অনিয়মকে মেনে না নেওয়ায় লেখকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কলম বিরতি রেখে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন ভারতীয় নাগরিক মৃনালী রানী বিশ্বাসের জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে জমি রেজিস্ট্রি করতে দলিল দাখিল করেন এবং লেখকরা অধীকাংশ দাখিলকৃত দলিলের সাথে ফটোকপি খতিয়ান, ফটোকপি জাতীয় পরিচয় পত্র ও খাজনা দাখিলার কাগজ জমা দেয়। কিন্তু এসময় লেখকদের কাছে মূল খতিয়ানের কপি, মূল পরিচয় পত্র এবং মূল দাখিলা দেখতে চাইলে তারা বিভিন্ন কথা বলে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে চায়। তিনি বলেন লেখকদের এমন অনৈতিক কার্যক্রম মেনে না নেওয়ায় লেখকরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন আমার বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন লেখকরা দলিল দাতার সনাক্তকারী ২ জন ব্যক্তিকে হাজির করলেও উক্ত ব্যক্তির মূল জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। ফলে কাগজ পত্র সঠিক না থাকায় অনেক দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয় না, যে কারনে লেখকরা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে এক সপ্তাহ রেজিষ্ট্রি অফিসে অচল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ যেমন ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্বের টাকা।