চৌগাছার পেটভরা গ্রামে ১টি নতুন গভীর নলকুপ স্থাপন নিয়ে দ্বন্দ চরমে

স্টাফ রির্পোটার,যশোর::যশোরের চৌগাছায় বিদ্যূত চালিত সেচযন্ত্র (একটি নতুন মটর) স্থাপন নিয়ে পল্লিবিদ্যুত বিভাগের স্বেচ্ছাচারিতা ও খোমখেয়ালীপনার কারনে পরস্পর দ্বন্দ চরমে উঠেছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্সে রুপ নিতে পরে। এ বিষয়টি পল্লিবিদ্যুত অফিসে জানিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না বলে ভ’ক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানাযায়,দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার নারয়নপুর ইউনিয়নের পেটভরা গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠে প্রতিবছরের ন্যায় চলতি বছরও প্রায় মাত্র ৫০/৬০একর জমিতে ইরিধানের চাষাবাদ হয়েছে। এই সকল জমিতে ইরি ধান চাষে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরন করে একটি গভীর নলকুপ ও ৫টি বিদ্যুত চালিত মটর(স্যালো) আছে। এসব মটরগুলো যশোর পল্লিবিদুৎ সমিতি-১ ওই মাঠের জমি হিসাব করে সরবরাহ করে। তাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করে এবং পল্লি বিদ্যুতের নিয়ম মেনেই যাদের মটর সংযোগ পেয়েছিল তারা হলেন বন্দলীতলা গ্রামের মৃত বানজুলা মুন্সির ছেলে হোসেন আলী ১টি গভীর নলকুপ,পেটভরা গ্রামের মৃত বারিক বিশ্বাসের ছেলে জামাল উদ্দিন ১টি মটর,মৃত বাছেত আলীর ছেলে আব্দুল খালেক একটি মটর,আব্দুল খালেকের ছেলে ইউছুফ আলী,আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল মাজিদ একটি,মৃত অহেদ আলী বক্্েরর ছেলে শফিকুল ইসলাম মটরের । বর্তমানে ওই মাঠে আর কোন আবাদী জমি না বাড়লেও ও নতুন মটর সংযোগ লাইন পল্লি বিদ্যুতের নিয়ম লঙ্ঘন করে বেড়েই চলেছে। চলতি মৌসুমে পেটভরা গ্রামের শামিম রেজা সংশ্লিষ্ট চৌগাছা উপজেলা বিদ্যূত অফিস ও উপজেলা কৃষি অফিসের নারয়নপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার কে ম্যানেজ করে আবারও নতুন করে একটি গভীর নলকুপ(মটর) প্রতি স্থাপনের করা হচ্ছে। ফলে মটর মালিকরা আর্থিকভাবে ভীষন ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই মাঠে নতুন করে মটর দেবার কোন নিয়ম নেই। প্রতি ৩শ বিঘা জমিতে ১টি করে গভীর নলকুপ নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা অমান্য করে উপজেলা পল্লি বিদ্যুত অফিস খামখেয়ালীপনা করে আবার নতুন গভীর নলকুপ সংযোগ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এ গ্রোমের মটর মালিকদের লাভের পরিবর্তে লোকশান গুনতে হবে। আর সেই আশঙ্কায় মটর মালিকদের সাথে নতুন মটর সংযোগকারী শামিম রেজার দলবলের মধ্যে পরস্পর দ্বন্দ বাড়ছে। স্থানীয়দের ধারনা ওই মাঠে নিয়ম বর্হিভ’ত
নতুন একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হলে বিষয়টি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্সে রুপ নিতে পরে। গত সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ মটর মালিকেরা নতুন মটর সংযোগ লাইন বন্ধ করতে উপজেলা বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ বলা হয়েছে সারা বছর ইরি ধানের (মৌসুম) মটর চালিয়েও খরচের টাকা উঠে না। তাতে আবার নতুন গভীর নলকুপ স্থাপন যা মরার উপর ঘাড়ার ঘা ছাড়া কোন লাভ হবে না। উপজেলা কৃষি অফিসার রাসেল বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে ওই মাঠে কি পরিমান জমি আছে তার রিপোর্ট দেয়া যাবে। কোন অনিয়ম হবে না। উপজেলা পল্লিবিদ্যুতের ডিজিএম দেব কুমার মালো জানায়, এ বিষয়ে পেটভরা গ্রামের বেশকয়েকজন মটর মালিক অভিযোগ করেছে।। তবে বিষয়টি অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ